ঈদের হাসি শিশুর মুখে ২০২৪

সংগঠন নিয়ে আমাদের কোন বিজ্ঞাপন কৌশল নেই, বিজ্ঞাপনের জন্য ব্যয় করার জন্য কোন বাজেটও নেই। তাই আপনিই আমাদের পাশে থাকুন, আপনার আপনজনদের সাথে কথা বলার সময় আমাদের কথা বলুন। আপনি যখন ইফতার, সেহেরী কিংবা নামাজ শেষে দোয়া করেন তখন আপনার দোয়ায় আমাদেরও রাখবেন। রমজান এবং ইদ নিয়ে যে পরিকল্পনা সাজিয়েছি, আমরা তা ভালো মনে করেছি বলেই এভাবে সাজিয়েছি এবং এগুলো সব বাস্তবায়ন করতে পারলে, আশা করা যায় পুরো বছর কার্যক্রম বাস্তবায়ন সহজ হয়ে উঠবে ইংশাআল্লাহ।

কর্মসংস্থান

আপনারা খেয়াল করলে দেখবেন, আমরা সংগঠন থেকে শিশুদের কম্পিউটারে বিভিন্ন কাজ শেখানোতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করেছি। সত্যিকার অর্থে শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা কম্পিউটারকে প্রধান অনুষঙ্গ হিসেবে গ্রহণ করেছি। আমাদের মাত্র দুটো কম্পিউটার, যা সকল শিক্ষার্থীর জন্য অপ্রতুল। তাই শিশুদের ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতে, তাদের দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করতে কম্পিউটার শিক্ষায় আগ্রহী প্রত্যেক শিশুকে ধাপে ধাপে কম্পিউটারের ব্যবস্থা করতে চাই। আমরা যদি তাদের কৈশোরেই দক্ষ জনশক্তিতে রুপান্তর করতে না পারি, তাহলে তাদের কিছু করতে পারার পূর্বেই বিয়ে হয়ে যাওয়া অথবা প্রোডাক্টিভ নয় এমন শ্রমে যুক্ত হয়ে যেতে হয়। আমরা ইতোমধ্যে এমন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছি। তাই প্রথমধাপে দুইজন শিশুকে কম্পিউটার দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি। কম্পিউটার কেনার জন্য যাকাতের টাকা গ্রহণ করা হবে যেহেতু অধিকাংশ পরিবার যাকাত যোগ্য। যেহেতু যাকাতের টাকা এবং সাধারণ ডোনেশনের টাকা উভয়টি কম্পিউটার কেনায় ব্যবহার হবে তাই যাকাত প্রদানের শর্ত অনুযায়ী কম্পিউটার গুলোর মালিকানা শিশুদের দেয়া হবে। কম্পিউটারের নিরাপত্তা বিধান, ইন্টারনেটের ব্যবস্থা এবং প্রশিক্ষক কর্তৃক হাতে কলমে প্রশিক্ষনের জন্য প্রাথমিক ভাবে কম্পিউটার গুলো সংগঠনের অফিসে থাকবে এবং যাদের মালিকানায় কম্পিউটার দেয়া হবে তারা সকাল, বিকাল এবং সন্ধ্যায় তাদের ইচ্ছামতো শর্তহীন ভাবে কম্পিউটার অনুশীলনে অংশ নিতে পারবে। যখন তারা দক্ষ হবে এবং তাদের উপার্জনের জন্য উপযুক্ত করে গড়ে তোলা যাবে তখনই ঐ কম্পিউটার তাদের জিম্মায় দিয়ে দেয়া হবে। যেহেতু গ্রাফিক্স, মোশন গ্রাফিক্স এবং ইউ আই ডিজাইন, ওয়েবসাইটের ফ্রন্টেন্ড ডিজাইন এই গুলোর মধ্যে কোন একটি শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও সক্ষমতার ভিত্তিতে শেখানো হবে তাই কম্পিউটারের বাজেট রাখা হয়েছে মনিটর সহ ৬০ হাজার টাকা। শিশুদের গ্রাফিক্সের কাজ শেখানোর দায়িত্বে থাকবে এই সংগঠনেই গ্রাফিক্স এবং মোশন গ্রাফিক্সের কাজ শিখে স্থানীয় একটি প্রতিষ্ঠানের মোশন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হিসেবে কর্মরত সদ্য তারণ্যে পা দেয়া একজন। আপনি আপনার যাকাতে অর্থ বা যেকোন ডোনেশন যে কোন পরিমাণে সংগঠনে প্রদান করতে পারেন। যাকাতের অর্থ প্রদানের ক্ষেত্রে অবশ্যই রেফারেন্সে “Zakat” শব্দটি লিখে দিবেন, অথবা ফোন দিয়ে বা পেইজে মেসেজ করে অবহিত করবেন। যদি যাকাতের অর্থ না হয় কিন্তু কম্পিউটার কেনার জন্যই ডোনেট করেন তাহলে রেফারেন্সে উল্লেখ করুন “pc”

ঈদের বাজার

অস্থিতিশীল বাজার পরিস্থিতিতে দরিদ্র মানুষদের জন্য ঈদের বাজার সম্পন্ন করা কষ্টসাধ্য। আপনি সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দিতে পারেন ৩০ টি পরিবারে ঈদের বাজার পৌঁছে দিতে, তাদের ঈদকে সহজ করতে। মাংস, মশলা ও অন্যান্য উপকরণ মিলিয়ে সাধ্য অনুযায়ী ১০০০ টাকার বাজার বা সম পরিমাণ অর্থ পরিবার গুলোতে পৌঁছে দিতে চেষ্টা করবো ইংশাআল্লাহ। সহযোগীতার সময় রেফারেন্সে “Eid Bazar” উল্লেখ করার অনুরোধ রইলো অথবা ফোন দিয়ে বা পেইজে মেসেজের মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ রইলো।

বোরকা

সংগঠনের মেয়েদের পর্দা পালনে উৎসাহিত ও অভ্যস্ত করতে বোরকা দিতে চেষ্টা করছি। সংগঠনের যে মেয়েরা মাদ্রাসায় পড়ছে তারা তো বোরকা পড়ছেই। অন্যরাও উদ্ভুদ্ধ হোক, পরিচিত হোক ভালোর সাথে। মোট ২৩ পিস বোরকা কিনতে সহযোগীতা করুন। সহযোগীতা করুন মন্দের বিপরীতে ভালোকে এগিয়ে নিতে। প্রতি পিস বোরকার সম্ভাব্য মূল্য ধরা হয়েছে ১০০০ টাকা। সহযোগীতার সময় রেফারেন্সে “Burka” উল্লেখ করার অনুরোধ রইলো অথবা ফোন দিয়ে বা পেইজে মেসেজের মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ রইলো।

ঈদের জামা

ঈদের জামাতেই শিশুর ঈদের খুশি, ৪০ জন শিশুকে ঈদের জামা কিনতে সহযোগীতা করতে পারেন। আমরা এবার শিশুদের ঈদের জামা কিনে দিবো না। পরিবর্তে সাধ্য অনুযায়ী সর্বনিন্ম ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১০০০ টাকা প্রতিজন শিশুকে ঈদের জামা কেনার জন্য উপহার হিসেবে প্রদান করতে চেষ্টা করবো ইংশাআল্লাহ। ঈদের জামার জন্য অর্থ প্রদানের সম্ভাব্য তারিখ ৫ ই এপ্রিল, ২৫তম রামাদান, শুক্রবার। সহযোগীতার সময় রেফারেন্সে “Eid Jama” উল্লেখ করার অনুরোধ রইলো অথবা ফোন দিয়ে বা পেইজে মেসেজের মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ রইলো।

ইফতার

প্রতি বছরের মতো এবারও শিশুদের সাথে ইফতার আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। গরুর মাংস, রুটি ও ইফতার আইটেম মিলিয়ে সম্ভাব্য বাজেট ধরা হয়েছে ১২০০০ টাকা। ২৯ মার্চ, ১৮ তম রামাদান, শুক্রবারে ইফতার আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। ইফতার আয়োজনে সহযোগীতা করতে পারেন আপনি। সহযোগীতার সময় রেফারেন্সে “Iftar” উল্লেখ করার অনুরোধ রইলো অথবা ফোন দিয়ে বা পেইজে মেসেজের মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ রইলো।

তাসবিহ

রমজান শুরুর পূর্বেই আমরা শিশুদের নিয়ে রমজানের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছিলাম। যতটা আল্লাহ তৌফিকে রেখেছেন চেষ্টা করেছি আমরা। সংগঠন পরিচালিত মক্তব কার্যক্রমে শুদ্ধ ভাবে পবিত্রতা অর্জন থেকে শুরু করে নামাজ, মাসলা-মাসায়েল, দৈনন্দিন আচরণ ও আমল এর মধ্যে অন্তর্ভূক্ত ছিলো। দৈনন্দিন আমলের মধ্যে একটি হলো, আমরা তাদের বেশি বেশি জিকিরে অভ্যস্ত করতে চেষ্টা করেছি। সেই প্রচেষ্টাকে আরেক ধাপ এগিয়ে নিতে ৪০ জন শিশুকে ৪০ পিস ডিজিটাল তাসবিহ দিতে চেষ্টা করছি। যা শিশুদের বেশি বেশি জিকিরে অভ্যস্ত করতে সহযোগীতা করবে ইংশাআল্লাহ। প্রতি পিস ডিজিটাল তাসবিহ এর সম্ভাব্য ক্রয়মূল্য ধরা হয়েছে ৮০ টাকা, যাতে সর্বমোট মূল্য হয় ৩২০০ টাকা। সহযোগীতার সময় রেফারেন্সে “Tasbeeh” উল্লেখ করার অনুরোধ রইলো অথবা ফোন দিয়ে বা পেইজে মেসেজের মাধ্যমে জানানোর অনুরোধ রইলো।

শিশুর জন্য আমরা

সামাজিক মাধ্যমে আমরা

© 2024 সকল স্বত্ব শিশুর জন্য আমরা কর্তৃক সংরক্ষিত